শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৯

বিএসএমএমইউতে ডায়াবেটিক পেশেন্ট এডুকেশন উদ্বোধন



স্বাস্থ্য ডেস্ক: ১৩ অক্টোবর’ ১৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম ‘ডায়াবেটিস পেশেন্ট এডুকেশন’-এর শুভ উদ্বোধন হয়েছে। শনিবার সকালে বহির্বিভাগ ভবন ১-এর ৫ম তলার ৫০৯নং কক্ষে ডায়াবেটিস রোগী ও রোগীদের পরিবারের সদস্যদের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম ডায়াবেটিস পেশেন্ট এডুকেশনের শুভ উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রফিকুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে মাহবুবুল হক, এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. ফরিদ উদ্দিন, অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ আবুল হাসানাত, সহকারী অধ্যাপক ডা. শাহাজাদা সেলিম, সহকারী অধ্যাপক ডা. শারমিন জাহান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
রোগী ও তাদের স্বজনদের জন্য মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শিক্ষা কার্যক্রমের সমন্বয়ক সহকারী অধ্যাক ডা. শাহাজাদা সেলিম। সপ্তাহে প্রতি শনিবার দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত এ শিক্ষা কার্যক্রম দেয়া হবে। আগামীতে সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত এ সেবা দেয়া হবে।
ডায়াবেটিস ও হরমোন বিভাগের (এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগ) উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, জনগণের কাছ থেকে স্বাস্থ্যসেবার বিষয়ে কোনো ধরনের ট্যাক্স না নিয়েই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবাকে একটি মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। দেশের ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা প্রায় এক কোটি। অধিক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে আরও এক কোটি। গর্ভবতী মায়েদের প্রতি চারজনে একজনই ডায়াবেটিক রোগী। এত বিশাল সংখ্যক রোগীর যথাযথ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা শুধুমাত্র সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়, এজন্য জনগণকে আরও সচেতন হতে হবে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম রোগীদের রোগ প্রতিরোধে ও নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে উল্লেখ করে অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া আরও বলেন, এটি যথাযথ নিয়ন্ত্রণে এবং রোগীদের দীর্ঘস্থায়ী ঝুঁকি কমাতে শিক্ষার কার্যক্রমের গুরুত্ব অপরিসীম। এ শিক্ষা কার্যক্রম চিকিৎসাসেবা কার্যক্রমকে আরও বেগবান করবে। ডায়াবেটিসের মতো দীর্ঘস্থায়ী ও সর্বঘাতী রোগকে মোকাবিলা করতে রোগীদের প্রয়োজনীয় শিক্ষা অবশ্যই দিতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন