স্বাস্থ্য ডেস্ক: ২৫ অক্টোবর ২০১৯: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেছেন, অবস অ্যান্ড গাইনির সিজারসহ যেকোনো অপারেশন করার আগে পূর্ব প্রস্তুতি ও অপারেশন চলাকালীন প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও সতর্কতা অবলম্বন এবং অপারেশন পরবর্তী অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগিয়ে যথাযথ পদ্ধতির প্রয়োগ ও ব্যবস্থাপনা প্রয়োগ করার মাধ্যমে ৯০ ভাগ সংক্রমণই প্রতিরোধ করা সম্ভব।
তিনি বলেন, বিদ্যা মুখস্ত করলেই চলবে না, তা প্রয়োগ করতে হবে। প্রায়োগিক শক্তি ও জ্ঞান অর্জনের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। হাইজেনিক বা স্বাস্থ্যসম্মতভাবে অপারেশনস্থলে উপস্থিত হতে হবে। হাইজেনিক এনভায়রনমেন্ট নিশ্চিত করতে হবে। অত্যন্ত সতর্কতার সাথে নিজের অর্জিত জ্ঞান প্রয়োগের মাধ্যমে সংক্রমিত স্থান সারিয়ে তোলার মাধ্যমে রোগীকে সুস্থ করতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস অ্যান্ড গাইনি বিভাগের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার অপারেশন বা অস্ত্রোপচার পরবর্তী বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ বিষয়ে একটি কনটিনিউ মেডিক্যাল এডুকেশন (সিএমই) প্রোগ্রাম অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অবস অ্যান্ড গাইনি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. তৃপ্তি রাণী দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অবস অ্যান্ড গাইনি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কানিফ ফাতেমা ও সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ূয়া অস্ত্রোপচার পরবর্তী রোগীদের শরীরের অস্ত্রোপচারের স্থানে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ প্রতিরোধে ও সংক্রমিত স্থান উন্নত ও সুচিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, নার্সসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে অবস অ্যান্ড গাইনি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. তৃপ্তি রাণী দাস বলেন, পরিবশেগত কারণে, রোগীর নিজের শরীরের নানা সমস্যার কারণে, ভিজিটরদের কারণে রোগী সংক্রমণের শিকার হয়ে থাকেন। এটা রোগীদেরকে দীর্ঘদিন ভোগ করতে হয়। এটা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সতকর্তা অবলম্বনসহ পূর্ব প্রস্তুতির বিকল্প নেই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন