শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৯

আজ বিশ্ব এইডস দিবস


স্বাস্থ্য ডেস্ক: ০১ ডিসেম্বর’১৯: আজ ১ ডিসেম্বর, বিশ্ব এইডস দিবস। প্রতিবারের মতো এবারও বাংলাদেশ দিবসটি পালন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে-‘এইডস নির্মূলে প্রয়োজনঃ জনগণের অংশগ্রহণ’। ১৯৮৮ সাল থেকে এইডসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশ্বে এ দিবসটি পালন করে থাকে।
বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। ইউএনএইডস-এর তথ্যমতে, বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ৩৪ মিলিয়ন মানুষ এইডসে আক্রান্ত এবং এ পর্যন্ত প্রায় ৩৫ মিলিয়ন মানুষ এ মরণঘাতী রোগে মৃত্য্যুবরণ করেছে।
১৯৮৯ সালে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম এইচআইভি কেস সনাক্ত হয়। ২০১২ সালে বাংলাদেশে ৩৩৮ জন এইচআইভিতে আক্রান্ত হয়। আর ১৯৮১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সর্বপ্রথম এ রোগ প্রকাশ পায় এবং একই বছরে দেশটির লস অ্যাঞ্জেলস রাজ্যের পাঁচ সমকামী এই রোগে আক্রান্ত হন। এক গবেষণায় জানা গেছে, সমকামীদের মধ্যে এই রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এইডস প্রতিরোধ ও নির্মূলে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, দাতাসংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা এবং গণমাধ্যমসমূহকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেছেন, বাংলাদেশে অদ্যাবধি এইচআইভি সংক্রমণের হার তুলনামূলকভাবে কম হলেও ভৌগোলিক অবস্থান, অসচেতনতা, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর অনিয়ন্ত্রিত আচরণ, কুসংস্কার ও ভ্রান্ত ধারণার জন্য এইডস এর ঝুঁকি বিদ্যমান। তাই প্রতিকারের পাশাপাশি এইডস প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টি, কুসংস্কার দূরীকরণ ও মানুষের আচরণ পরিবর্তনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ আবশ্যক। জাতিসংঘের ঘোষণা অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে এইডস নির্মূল করতে হলে সমাজের সর্বস্তরের জনগণের সম্পৃক্ততা খুবই জরুরি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, প্রতিটি এইচআইভি/এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যুগান্তকারী পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে সম্পূর্ণ সরকারি ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধানে ১০টি সরকারি হাসপাতাল থেকে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বিনামূল্যে এইডসের চিকিৎসা ও ঔষধ প্রদান করা হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে এটি আরো সম্প্রসারিত হবে।

প্রশংসায় ভাসছেন গ্রামের মানুষদের জন্য বাংলাদেশে আসা মার্কিন দম্পতি


স্বাস্থ্য ডেস্ক: ০১ ডিসেম্বর’১৯: ডাক্তার ভাই এড্রিক বেকার টাঙ্গাইলের মধুপুরের কালিয়াকুড়িতে গরিবের জন্য হাসপাতাল গড়ে তুলেছিলেন। বেকার মারা যাওয়ার পর দায়িত্ব নিয়েছেন আমেরিকান দম্পত্তি জেসন-মারিন্ডি।
শুক্রবার বিটিভিতে প্রচারিত হানিফ সংকেতের ইত্যাদি অনুষ্ঠানে এই দম্পত্তিকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পরপরই তা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
দরিদ্র মানুষদের জন্য নিউজিল্যান্ডের চিকিৎসক এড্রিক বেকারের প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালের হাল ধরে প্রশংসায় ভাসছেন আমেরিকান এই দম্পত্তি।
ইত্যাদির ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, টানা ৩২ বছর গ্রামের দরিদ্র মানুষদের চিকিৎসা দেয়ার পর মারা যান ডাক্তার ভাই হিসেবে পরিচিত ডাক্তার এড্রিক বেকার।
দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে অনেকেই চেয়েছিলেন উনাকে ঢাকাতে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা দিতে। তিনি ঢাকা যাননি। তার তৈরি করা হাসপাতালেই তিনি ২০১৫ সালে মারা যান।
মৃত্যুর আগে তিনি চেয়েছিলেন বাংলাদেশি কোনো ডাক্তার যেন গ্রামে এসে তার প্রতিষ্ঠিত হাসপাতালের হাল ধরেন। কিন্তু এ দেশের একজন ডাক্তারও তার সেই আহ্বানে সাড়া দেয়নি।
তবে দেশের কেউ সাড়া না দিলেও এড্রিক বেকারের আহ্বানে সাড়া দিয়েছিলেন আমেরিকার এক হৃদয়বান দম্পত্তি জেসন ও মারিন্ডি।
ডা. এড্রিক বেকার বেঁচে থাকার সময় কালিয়াকুড়ির এই হাসপাতালটি পরিদর্শন করেছিলেন। পরবর্তীতে ডাক্তার ভাইয়ের মৃত্যুর খবর শুনে জেসন অস্থির হয়ে উঠেন। কিন্তু তখন নিজের প্রশিক্ষণ ও ছেলেমেয়েরা ছোট থাকার কারণে জেসন বাংলাদেশে আসতে পারেননি।
অবশেষে সবকিছু গুছিয়ে সম্পদ আর সুখের মোহ ত্যাগ করে ২০১৮ সালে পুরো পরিবার নিয়ে আমেরিকা ছেড়ে স্থায়ীভাবে চলে আসেন মধুপুরে। জেসন হয়ে উঠেন নতুন ডাক্তার ভাই আর মারিন্ডি হয়ে উঠেন ডাক্তার বিবি।
বাংলাদেশে আসার সময় নিজেদের সন্তানদেরও সঙ্গে করে নিয়ে আসেন তারা। ইতিমধ্যে ভর্তি করে দিয়েছেন গ্রামেরই স্কুলে। তারা গ্রামের শিশুদের সঙ্গে লেখাপড়া ও খেলাধূলা করে।
অবসরে ডাক্তার জেসিনও লুঙ্গি পরে ঘুরে বেড়ান। তাদের খাদ্য তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশি ফল ও খাবার। জেসন-মারিন্ডি বাংলায় কথা বলতে পারেন। সন্তানদেরও বাংলা ভাষা শেখাচ্ছেন।
প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েন এই দম্পত্তি।
ইত্যাদির মাধ্যমে বাংলাদেশি ডাক্তারদের গ্রামে গিয়ে দরিদ্র মানুষের সেবার আহ্বান জানিয়েছেন জেসন-মারিন্ডি।
এদিকে প্রতিবেদনটি ভাইরাল হওয়ার পর জেসন-মারিন্ডি দম্পত্তির প্রশংসা করেছেন নেটিজেনরা। সুদূর আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে এসে দরিদ্র মানুষের সেবা করে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তারা তা নজিরবিহীন বলেও মনে করেছেন অনেকেই।

Dist, upazila hospitals to get 4,500 new docs on Dec 8



Health Desk- 01 Dec, 2019: Health and Family Welfare Minister Zahid Maleque on Saturday said some 4,500 new doctors are going to join different district and upazila hospitals on December 8, reports UNB.
“With this, there’ll be no doctor crisis,” he said during a visit to 250-bed district hospital in Manikganj at noon.
The minister also said in the last four months 2,000 doctors were promoted to the post of assistant professor. “They’ll provide treatment at different hospitals alongside delivering lectures at medical colleges,” he said.
Mentioning that doctors were appointed for rendering services to people, he said action will be taken if anyone remains absent in workplace unlawfully.
Zahid also said a 15-storey new hospital will be established in each of the eight divisions at a cost of Tk 2,500 crore. “Cancer patients will be treated in the first six floors of the hospitals and later approval will be given for kidney treatment.”
He said a 10-bed kidney hospital will be constructed in each district to facilitate the treatment of kidney patients.
Turning to the dengue outbreak, the minister said the situation now remains under control.
He also said the Directorate General of Health Services has all the preparations to face the mosquito-borne disease in the future.
The minister, however, said city corporations and municipalities will have to discharge their duties in time to destroy Aedes mosquito, the vector of dengue.

ডিসেম্বরে যোগ দেবে সাড়ে ৪ হাজার নতুন ডাক্তার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী



স্বাস্থ্য ডেস্ক: ০১ ডিসেম্বর’১৯: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, গত চার মাসে দুই হাজার ডাক্তারকে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। তারা বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে পড়াশোনার পাশাপাশি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা প্রদান করবে। আগামী ৮ ডিসেম্বর সাড়ে ৪ হাজার নতুন ডাক্তার জেলা উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতালে যোগদান করবে। এতে করে হাসপাতালগুলোতে আর ডাক্তার সংকট থাকবে না।
শনিবার বেলা ১২ টায় মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, জনগণের সেবার জন্য ডাক্তারদের চাকরী দেওয়া হয়েছে। নিয়মবহির্ভূতভাবে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসময় পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল আমিন আখন্দ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নাদিরা আক্তার, হাসপাতালের তত্তাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আব্দুল আওয়াল, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসমাউল হুসনা লিজা, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক লিয়াকত আলী ভান্ডারি, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৯

Immunotherapy offers hope for men with prostate cancer



Health Desk- 30 Nov’19: A major trial of an immunotherapy drug has shown it can be effective in some men with advanced prostate cancer.
The men had stopped responding to the main treatment options.
Researchers found that a small proportion of men, described as "super responders", remained well even after the trial ended, despite a very poor prognosis before treatment.
Last week it was reported the same drug had proved effective in treating advanced head and neck cancers.
Immunotherapy uses our own immune systems to recognise and attack cancer cells.
It's already being used as a standard treatment for some cancers such as melanomas - and being tested on many others too.
It found that one in 20 men with advanced prostate cancer responded to the drug pembrolizumab - and saw their tumours actually shrink or disappear altogether.
Although a relatively small number, some of them gained years of extra life, the study in the Journal of Clinical Oncology found.
The phase II clinical trial, led by the Institute of Cancer Research and the Royal Marsden, involved 258 men with advanced prostate cancer who had run out of all other options on treatment.

‘গোল্ডেন ব্লাড’ ধারণ করেন বিশ্বে মাত্র ৪৩ জন!


স্বাস্থ্য ডেস্ক: ৩০ নভেম্বর’১৯: মানুষের শরীরে ‘এ’, ‘বি’, ‘এবি’ এবং ‘ও’ এই চার গ্রুপের রক্ত রয়েছে। প্রতি গ্রুপেরই দুটি ভাগ থাকে। পজেটিভ এবং নেগেটিভ। কারও শরীরে পজেটিভ গ্রুপের রক্তের প্রয়োজন হলে তা সহজেই পাওয়া যায়। কিন্তু যাদের শরীরে নেগেটিভ গ্রুপের রক্ত রয়েছে তাদের রক্তের প্রয়োজন পড়লে তা খুঁজে পেতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। এই নেগেটিভ গ্রুপের মধ্যে বিরল হলো ‘ও’ নেগেটিভ। তবে আরেকটি বিরল রক্তের গ্রুপ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সেই রক্তকে ‘গোল্ডেন ব্লাড’ নামে অভিহিত করছেন তারা।
আমেরিকান রেড ক্রস সংস্থাটি বলেছে, যেসব গ্রুপের রক্ত প্রতি ১ হাজার জনের মধ্যে একজনের শরীরে থাকে, সেগুলোকে ‘বিরল’ বলে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়। ‘ও’ নেগেটিভ হল তেমনই একটি ‘বিরল’ রক্তের গ্রুপ। কিন্তু এমন একটি রক্তের গ্রুপ রয়েছে যা প্রতি ৬০,০০,০০০ জনের মধ্যে ১ জনের শরীরে আছে। বিজ্ঞানীদের মতে, এটিই হল বিশ্বের ‘বিরলতম’ গ্রুপের রক্ত। রক্তের এই গ্রুপটিকে বলা হয় ‘গোল্ডেন ব্লাড’। চিকিত্সকদের কাছে এটি ‘আরএইচ-নাল’ (Rh-Null) নামে পরিচিত।
সাধারণত, রক্তের কোষগুলোতে ৩৪২টি অ্যান্টিজেন থাকে। এই অ্যান্টিজেনগুলোর কম্বিনেশনই নির্ধারণ করে কোন রক্তের গ্রুপ ঠিক কী হবে। এই অ্যান্টিজেনের ভিত্তিতে মানুষের রক্তকে চার ভাগে ভাগ করা হয়। সেগুলি হল, ‘এ’, ‘বি’, ‘এবি’ আর ‘ও’। প্রত্যেকটি রক্তের গ্রুপ আবার দু’ভাগে বিভক্ত, ‘পজেটিভ’ এবং ‘নেগেটিভ’। অর্থাৎ সব মিলিয়ে মানুষের শরীরে মোট আটটি আলাদা আলাদা গ্রুপের রক্ত পাওয়া যায়। সেগুলো হল, ‘এ পজেটিভ’, ‘এ নেগেটিভ’, ‘বি পজেটিভ’, ‘বি নেগেটিভ’, ‘ও পজেটিভ’, ‘ও নেগেটিভ’, ‘এবি পজেটিভ’ ও ‘এবি নেগেটিভ’।
‘গোল্ডেন ব্লাড’ গ্রুপের রক্তের আরএইচ সিস্টেমের ৬১টি অ্যান্টিজেনের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি বলে একে ‘বিরল’ বলে গণ্য করছেন বিজ্ঞানীরা। এই ‘আরএইচ-নাল’ নামের রক্তের সন্ধান প্রথম পাওয়া যায় ১৯৬১ সালে।
বিগত ৫৮ বছরে বিশ্বে মাত্র ৪৩ জন মানুষের মধ্যে এই ‘আরএইচ-নাল’ গ্রুপের রক্ত বা ‘গোল্ডেন ব্লাড’-এর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এই ৪৩ জনের মধ্যে ৯ জন নিয়মিত রক্ত দান করেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, যাদের শরীরে ‘আরএইচ-নাল’ গ্রুপের রক্ত রয়েছে, তারা যে কোন গ্রুপের মানুষকেই রক্ত দিতে পারেন, তবে সবার থেকে রক্ত নিতে পারেন না। তাই চিকিৎসকদের মতে, যাদের শরীরে ‘আরএইচ-নাল’ গ্রুপের রক্ত রয়েছে, তাদের খুব সাবধানে জীবনযাপন করা জরুরি।

বায়ু দূষণের কারণে চোখে ছানি পড়ে!




স্বাস্থ্য ডেস্ক: ৩০ নভেম্বর’১৯: বায়ু দূষণের কারণেও চোখে ছানি পড়তে পারে বলে সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বায়ু দূষণ চোখের ছানির জটিল অবস্থা তৈরি করতে পারে।
সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, উচ্চতর পরিমাণে সূক্ষ্ম কণা পদার্থযুক্ত দূষণের জায়গাগুলোতে বসবাসরত লোকজনের চোখে ছানি পড়ার হার ৬ শতাংশ বেশি। সেই তুলনায় স্বল্প দূষিত অঞ্চলের বাসিন্দাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম। এই সমীক্ষাটি প্রকাশিত হয়েছে, ‘ইনভেসটিগেটিভ অপথালমোলজি অ্যান্ড ভিস্যুয়াল সায়েন্স, ২০১৯’-এ।
এই গবেষক দলের অন্যতম ইউসিএল চক্ষু হাসপাতালের শিক্ষক পল ফস্টার বলেন, ‘বায়ু দূষণের সঙ্গে মানুষের স্বাস্থ্য কেন জড়িয়ে রয়েছে, তার আরও একটি কারণ আমরা খুঁজে পেয়েছি। অন্যান্য স্বাস্থ্য সংক্রান্ত উদ্বেগের পাশাপাশি চোখের স্বাস্থ্যকেও ঠিক রাখতে বায়ু দূষণ এড়িয়ে চলা উচিত।’
তার কথায়, ‘যদিও আমরা এ বিষয়ে নিশ্চিত করে এখনই কিছু বলতে পারছি না, কারণ গবেষণাটি প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। তবে আমরা আশাবাদী, এই গবেষণার মধ্য দিয়েই জানতে পারব চোখের ছানির জন্য বায়ু দূষণ কতটা দায়ী।’
বায়ু দূষণের ভয়াবহতা থেকে কী করে চোখকে রক্ষা করা যেতে পারে, তা নিয়েও পরীক্ষা চলছে বলে তিনি জানান।
চিরতরে অন্ধত্ব হওয়ার শীর্ষে রয়েছে চোখের ছানির জটিল অবস্থা। বিশ্বের প্রায় ৬০ মিলিয়নেরও বেশি মানু্ষ এতে আক্রান্ত। গ্লুকোমা হলে চোখের মধ্যে থাকা তরলের ওপর চাপ বাড়ে। যার ফলে চোখের সঙ্গে মস্তিষ্কের সংযোগ স্থাপনকারী অপটিক স্নায়ুটির ক্ষতি হয়। এই গ্লুকোমা একটি স্নায়ুজনিত রোগ।
ফস্টার বলেন, ‘গ্লুকোমার ঝুঁকি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আছে। বৃদ্ধ বয়সে বা বংশগতভাবেও অনেকে এই রোগের শিকার হতে পারেন। তবে গ্লুকোমার ঝুঁকি অনেকটাই কম হতে পারে, যদি চোখের ওপর চাপ কম পড়ে।

দেশের ৯.৬% মানুষ বধিরতা সমস্যায় ভুগছে


স্বাস্থ্য ডেস্ক: ৩০ নভেম্বর’১৯: বর্তমান বিশ্বের ৫ শতাংশ মানুষ বধিরতায় ভুগছেন। বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধিতার মধ্যে বধিরতা দ্বিতীয়। বিশ্বে ৪৬ দশমিক ৬ কোটি মানুষ বধিরতায় আক্রান্ত। এখনই যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া না যায় তাহলে ২০৫০ সালে ৯০ কোটি মানুষ অর্থাৎ প্রতি ১০ জনের একজন বধিরতা আক্রান্ত হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে ৯ দশমিক ৬ ভাগ মানুষ বধিরতার সমস্যায় ভুগছেন। এরমধ্যে ১ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ সম্পূর্ণ বধিরতা আক্রান্ত। ১৫ বছরের নিচে বধিরতায় আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যা ৬ শতাংশ। চিকিৎসার মাধ্যমে তাদের সমস্যা নিরাময়যোগ্য।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ঢাকা ক্লাবের হামিদুর রহমান সিনহা লাউঞ্জে সার্ক অটোল্যারিংগোলজিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত বৈঠকে বক্তারা এ কথা বলেন। সার্ক অঞ্চলের বধিরতা প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক এ গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত। সার্ক অটোল্যারিংগোলজিস্টস
অ্যাসোসিয়েশনের (বাংলাদেশ চাপ্টার) সভাপতি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান তরফদারের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য অধ্যাপক ডা. নাসিমা আখতার। বৈঠকে সংগঠনের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এসএম খোরশেদ আলম মজুমদার, অধ্যাপক এএইচএম জহুরুল হক সাচ্চু, অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ডা. এসকে নূরুল ফাত্তাহ রুমী, অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, অধ্যাপক ডা. আবু হানিফ, অধ্যাপক ডা. আবু ইউসুফ ফকির, ডা. মোহাম্মদ ইদ্রিছ আলী, ডা. দেওয়ান মাহমুদ হাসান প্রমুখও উপস্থিত ছিলেন।
বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- দক্ষিণ কোরিয়ার অধ্যাপক ডা. ইয়োন উ কোহ, যুক্তরাজ্যের অধ্যাপক ডা. গোলাম মওলা সালাউদ্দিন আহমেদ, ভারতের ডা. অরুণ কুমার আগরওয়াল, ডা. সম্পদ চন্দ্র প্রাসাদ রাও, শ্রীলংকার ডা. জেএমআরজে জায়াওয়েরা, নেপালের অধ্যাপক ডা. নার মায়া থাপা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দ্রুত শনাক্তকরণ, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিশ্চিত করা ও কানে শোনার ব্যবস্থা করতে পারলে এসব শিশুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বধিরতা নিরূপণ ও প্রতিরোধের বিষয়টি প্রাইমারি হেলথ কেয়ারে অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় নীতি ও কর্মকৌশল গ্রহণ করা হয়েছে। বধিরতার বিষয়ে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য শিক্ষা চালু, জনসচেতনতা সৃষ্টি, জনবল তৈরি, বধিরতা অতি দ্রুত নিরূপণ কর্মকৌশলে ইত্যাদি গুরুত্ব পেয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৯

২৪১ জনকে চাকরি দেবে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর


স্বাস্থ্য ডেস্ক: ২৯ নভেম্বর’১৯: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিষ্ঠান নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর রাজস্বখাতভুক্ত শূন্য পদে লোক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। মোট ২৩টি পদে ২৪১ জনকে নিয়োগ দেবে সরকারের এই প্রতিষ্ঠানটি। আপনি যদি আগ্রহী হন তবে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে পারবেন।
পিএ টু অধ্যক্ষ পদে ২ জন, অফিস তত্ত্বাবধায়ক পদে ১ জন, সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে ২ জন নিয়োগ পাবেন। এরা প্রত্যেকেই ২৬,৫৯০ টাকা করে বেতন পাবেন।
সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে ১ জন, লাইব্রেরিয়ান পদে ১ জন এবং ল্যাবরেটরি সহকারী পদে ১ জন নিয়োগ পাবেন। সরকারি বেতন কাঠামো অনুযায়ী এদের বেতন হবে ২৪,৬৮০ টাকা।
গাড়ী চালক (ভারী) পদে ৯ জন, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদে ১ জন, ল্যাব এ্যাসিসটেন্ট পদে ৩ জন, স্টোর কিপার পদে ২ জন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে ১৬ জন, ক্যাশিয়ার পদে ৮ জন, সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদে ১ জন, হাউজ কিপার পদে ৬ জন, হোম সিস্টার ৪ জন এবং আর্টিস্ট পদে ১ জন নিয়োগ পাবেন। বেতন স্কেল অনুযায়ী এরা পাবেন ২২,৪৯০ টাকা। রেকর্ড কীপার পদে ১ জন নিয়োগ পাবেন। তার বেতন হবে ২০,৫৭০ টাকা।
সবচেয়ে বেশি ৬৮ জন নিয়োগ পাবেন অফিস সহায়ক পদে। টেবিল বয় পদে ১১ জন, নিরাপত্তা প্রহরী পদে ২৯ জন, মালী পদে ৭ জন, বাবুর্চি/সহকারী বাবুর্চি পদে ৪০ জন এবং পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে ২৬ জন নিয়োগ পাবেন। এদের প্রত্যেকেরই বেতন হবে ২০,০১০ টাকা।
আগ্রহী প্রার্থীদেরকে পরীক্ষার ফি ও অনলাইন ফি বাবদ ১-১৬নং পদের জন্য ১০৯.৫০/- টাকা এবং ১৭-২৩নং পদের জন্য ৫৬ টাকা জমা দিয়ে অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। আবেদনপত্র জমা নেওয়া ২২ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এবং শেষ হবে ১৫ ডিসেম্বর রাত ১২টায়।
বিস্তারিত তথ্য নার্সি ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের www.dgnm.gov.bd এই ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে।

ক্যানসার আক্রান্ত শিশুকে আনন্দে রাখতে নার্সের নাচ ভাইরাল


স্বাস্থ্য ডেস্ক: ২৯ নভেম্বর’১৯: ক্যানসার আক্রান্ত তিন বছরের শিশুকে আনন্দে রাখতে হাসপাতালে নার্সের একটি নাচ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা গেছে, ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। সেখানে বাচ্চাটিকে আনন্দে রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন নার্সরা।
বাচ্চাটির মুখে হাসি ফোটাতে এক নার্সকে দেখা যাচ্ছে তার বেডের সামনে নাচ করতে। সেই ভিডিও নিয়েই এখন মেতেছেন নেটিজেনরা।
সম্প্রতি এ ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনার সালেম-উইনস্টন শহরে। সেখানকার ব্রেনের ইয়ংস্টারস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশু পার্ল মনরো।
গত সপ্তাহে ধরা পড়েছে লিউকেমিয়াতে আক্রান্ত সে। মনরোকে আনন্দে রাখতেই তার কেবিনে নেচেছেন ওই হাসপাতালের নার্স মার্সিয়া লাভ বোয়েনস।
ক্রিসমাস উদযাপনের বিখ্যাত গান ‘দ্য জিঙ্গেল বেল রক’-এ নাচতে দেখা যাচ্ছে মার্সিয়াকে। আর নিজের ফোনেই সেই গান চালিয়েছিলেন তিনি।

ব্রাজিলে বাংলাদেশের এক বিলিয়ন ডলারের ওষুধপণ্য রপ্তানির সম্ভাবনা



স্বাস্থ্য ডেস্ক: ২৯ নভেম্বর’১৯: ব্রাজিলে বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামী পাঁচ থেকে দশ বছরে বাংলাদেশ প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের বাংলাদেশি ওষুধপণ্য ব্রাজিলে রপ্তানি করতে পারবে।
বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম ওষুধপণ্যের বাজার ব্রাজিলের বর্তমান ওষুধপণ্যের বাজারের আয়তন প্রায় ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২৩ সালের মধ্যে ব্রাজিল পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম ওষুধপণ্যের বাজার হবে বলে ধারণা করছেন ওষুধশিল্পের গবেষকরা।
সেসময় ব্রাজিলের ওষুধপণ্যের বাজারের আয়তন ৩৯ থেকে ৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। বর্তমানে ব্রাজিল প্রতিবছর প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলারের ওষুধপণ্য আমদানি করে।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ব্রাজিল দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
ব্রাজিল দূতাবাসের উদ্যোগে বাংলাদেশের একটি ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিনিধিদল ১৬-২২ নভেম্বর ব্রাজিল সফর করে। বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ডা. মো. মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে এ প্রতিনিধিদলে বাংলাদেশ ওষুধশিল্প সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও হাডসন ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম শফিউজ্জামানও ছিলেন।
বাংলাদেশের প্রথম সারির ১১টি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রতিনিধি সফরে অংশ নেন। হাডসন ফার্মাসিউটিক্যালস ছাড়াও ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস, জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যালস, নুভিস্তা ফার্মাসিউটিক্যালস, হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, এমিকো ল্যাবরেটরিজ, ডেল্টা ফার্মা, জেসন ফার্মাসিউটিক্যালস, ফার্মিক ল্যাবরেটরিজ, বেক্সিমকো ফার্মা ও এসিআই হেলথ কেয়ারের কর্মকর্তারা ব্রাজিলে প্রথমবার সফরে আসা এই প্রতিনিধিদলে অংশ নেন।
ব্রাজিলে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জুলফিকার রহমান ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিনিধিদলের সফর সফল করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন। সফরকালে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল ব্রাসিলিয়ায় ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনায় মিলিত হন। ব্রাজিল সরকার বাধ্যতামূলকভাবে সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করে। সে কারণে ব্রাজিলে ওষুধপণ্যের সবচেয়ে বড় ক্রেতাও ব্রাজিলের সরকার তথা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ব্রাজিলের বাজারে প্রবেশের বিষয়ে ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সব রকমের সহযোগিতারও আশ্বাস দেন।
ব্রাসিলিয়ায় ব্রাজিলের ওষুধপণ্যের রেজিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের গুরুত্বপূর্ণ ও সফল আলোচনা হয়। ওষুধপণ্য রেজিস্ট্রেশনের বিষয়ে ব্রাজিলের বিধিবিধান সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত বিধিবিধান আধুনিকীকরণ ও আন্তর্জাতিক বিধির সঙ্গে সামঞ্জস্যের ফলে বাংলাদেশি ওষুধপণ্য কোম্পানিগুলো অপেক্ষাকৃত সহজে বাংলাদেশের ওষুধপণ্য ব্রাজিলে রেজিস্ট্রার করতে পারবে বলে আলোচনায় উঠে আসে।
প্রতিনিধিদল ব্রাজিলের ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যের বাজার, ব্যবসাপদ্ধতি ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা লাভের জন্য ব্রাজিলের বাণিজ্যনগরী সাও-পাওলোতে তিনটি ফার্মাসিউটিক্যাল বাণিজ্যিক সংগঠনের সঙ্গেও বিস্তারিত ও পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা করেন।
প্রতিনিধিদলের সব সদস্যই ব্রাজিলে ওষুধপণ্যের রেজিস্ট্রেশন, রপ্তানি, বাজারজাতকরণ ইত্যাদি সার্বিক বিষয়ে সম্যক ধারণা লাভ করেছেন।

EU to give 140,000 euros for Cyclone Bulbul victims



Health Desk-28 Nov, 2019: The European Union is allocating 140,000 euros (around Tk 1.32 crore) to provide humanitarian assistance to families affected by cyclone Bulbul that struck many parts of the southern Bangladesh in early November.
The aid will directly benefit 17,500 people in some of the hardest-hit areas in the districts of Barguna, Bhola, Pirojpur, Bagerhat, Khulna and Satkhira, according to a statement by the EU delegation in Dhaka on Wednesday.
This funding supports Bangladesh Red Crescent Society in delivering much-needed assistance through distribution of dry food items and shelter materials, such as tarpaulins and blankets, to those who have lost their homes and belongings.
More than 720,000 people were affected when Bulbul ripped through the southern region on November 10.
An estimated 110,000 houses sustained damage, while nearly 118,000 hectares of croplands and numerous fish enclosures -- the main source of livelihoods for many -- were ravaged.

বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৯

৮২টি জীবাণু ওষুধেও মরছে না! মারাত্মক ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য


স্বাস্থ্য ডেস্ক: ২৮ নভেম্বর’১৯: বাংলাদেশ ৮২টি রোগের জীবাণু রেজিস্ট্যান্ট বা এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্টান্সে পরিণত হয়েছে। দেশের ১৫০টি ফার্মাসিউটিক্যালসের ওষুধ নিয়ে গবেষণা করে এ তথ্য বেরা করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় গবেষণাটি সম্পন্ন করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান।
বুধবার রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান এ তথ্য উপস্থাপন করেন।
তিনি বলেন, রেজিস্ট্যান্সির শীর্ষ তালিকায় রয়েছে, সিপ্রোফ্লক্সাসিন (২১ শতাংশ), অ্যামক্সিসিলিন (১৬.৫ শতাংশ), অ্যাজিথ্রোমাইসিন (১৪ শতাংশ), সেফালোস্ফোরিন (১৩.৩ শতাংশ), মেট্রোনিডাজল (১২.৮ শতাংশ), ফিনক্সি মিথাইল পেনিসিলিন (৯.৩ শতাংশ), ক্লোক্সাসিলিন/ফ্লুক্লক্সাসিন (৬.৫ শতাংশ), অ্যাজল অ্যান্টিফাঙ্গাল (৫ শতাংশ) এবং অন্যান্য (৫.৩ শতাংশ)।
সেমিনারে জানানো হয়, বর্তমানে বিশ্বে যে কয়টি স্বাস্থ্যঝুঁকি মানবজাতির অস্তিত্বের জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা হয় তার মধ্যে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স অন্যতম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতোমধ্যে ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালের কার্যকারিতা হারানোর ঘটনাকে নীরব মহামারি হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
সাধারণ সংক্রমণজনিত রোগব্যাধির চিকিৎসা থেকে শুরু করে যেকোনো ধরনের অপারেশন, এমনকি ক্যান্সার চিকিংসাও অনেকখানি সহজ ও সফল হয়ে উঠেছিল অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালের আবিষ্কারের ফলে। কিন্তু রেজিস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়ার উদ্ভবের ফলে এসব রোগের চিকিৎসা কঠিন বা অসম্ভব হয়ে উঠছে।
অবস্থা আরও জটিল হয়ে উঠেছে অন্যান্য ক্ষেত্রেও। যেমন পশুপালন, মুরগি পালন, মৎস্য চাষ, কৃষিকাজসহ বিভিন্ন খাতে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালের ক্রমবর্ধমান ব্যবহার। আর এ মুহূর্তে পৃথিবীতে যে পরিমাণ এন্টিমাইক্রোবিয়াল ব্যবহৃত হচ্ছে, এর শতকরা ৭০ ভাগই মানুষ ছাড়া অন্যান্য খাতে।
সেমিনারে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) মো. মাহবুবুর রহমানসহ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইন্টার্ন-নার্সদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচীতে রমেকে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত


স্বাস্থ্য ডেস্ক: ২৮ নভেম্বর’১৯: ধর্মঘট-বর্জনে আবারও অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ইন্টার্ন চিকিৎসকরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ক্লাশ ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়ে আন্দোলন করছেন।
জানা গেছে, হাসপাতালের নার্সরাও আবারো আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এতে বিপাকে পড়েছেন রোগীরা।
কথায় কথায় ডাকা ধর্মঘট-বর্জনে অস্থিতিশীল রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। তুচ্ছ ঘটনায় সৃষ্টি হওয়া এসব সংকটে অসহায় রোগীরা। এদিকে এ ধরনের মানবিক ও অপরিহার্য এ পেশার ক্ষেত্রে ধর্মঘট-বর্জনের মতো কর্মসূচি বন্ধে এখনই আইন প্রণয়নের দাবি জনস্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলন পরিষদের।
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবারও (২৭ নভেম্বর) নার্স ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন না রোগীরা।
ইনজেকশনের সিরিঞ্জ থেকে কয়েক ফোঁটা ডিস্টিল ওয়াটার এক ইন্টার্ন চিকিৎসকের গায়ে ছিটকে পড়ার জের ধরে তিন দিন ধরে অচল দারিদ্রপ্রবণ রংপুর অঞ্চলের একমাত্র সরকারি এ হাসপাতাল। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে অসুস্থ রোগীদের বিপাকে ফেলে দফায় দফায় ধর্মঘট-বর্জনে ইন্টার্ন চিকিৎসক ও নার্সরা। দুর্ভোগে কাবু রোগীরা, ক্ষুব্ধ তাদের স্বজনরা।
তুচ্ছ এ ঘটনায় মঙ্গলবার উভয়পক্ষ পরিচালককে অবরুদ্ধ রাখেন ৫ ঘণ্টা। জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকদের হস্তক্ষেপে আরেক দফা সমঝোতা হয়। কিন্তু বুধবার সকাল থেকে ইন্টার্নরা আবারও ধর্মঘটে যান সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে, দেয়া হয় ক্লাশ ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা। পাল্টা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকে বিকালে প্রত্যাহার করেন নার্সরা।
গতকাল রংপুর মেডিকেলের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. শাহজাহান বলেন, এখনো কোনো পক্ষ জানায়নি তাদের অভিযোগ হয়ত জানাবে, পরবর্তীতে যা যা করণীয় আছে তাই করা হবে।
চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিতদের এ ধরণের কর্মসূচি দেয়া আইন করে বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন রংপুর জনস্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক বেলাল আহমেদ। বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পরিপত্র জারি করে বা একটা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। না হলে দেশে একটা বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
একইসঙ্গে মহান এ পেশার প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে চিকিৎসক ও নার্সদের নিজ স্বার্থের ওপরে উঠে মানবিক হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিনামূল্যে চিকিৎসা পেলেন মুক্তিযোদ্ধা ছাত্তার, পাবেন প্রতি মাসের ওষুধও


ডা. অপূর্ব পন্ডিত- ২৮ নভেম্বর’১৯: চিকিৎসা বঞ্চিত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ছাত্তারকে বিনামূল্যে চিকিৎসা করিয়েছে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। এ মহান মুক্তিযোদ্ধার জন্য প্রতি মাসের ওষুধের ব্যবস্থা করিয়ে দেওয়ারও প্রতিশ্রতি এসেছে।  
সম্প্রতি একটি অনলাইনে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ছাত্তারের দুরবস্থা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি অনলাইন এক্টিভিস্ট ও চিকিৎসক সুব্রত ঘোষের নজরে এলে তার চিকিৎসার ব্যাপারে তিনি উদ্যোগ নেন। সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়ার তত্ত্বাবধানে হাসপাতালটিতে বিনামূল্যে এই মুক্তিযোদ্ধার চিকিৎসা হয়।
ডা সুব্রত ঘোষ বলেন, ‘উনার (মুক্তিযোদ্ধা ছাত্তার) হৃদরোগে সমস্যা ছিল। তিনি অনিয়ন্ত্রিত ডায়বেটিসেও ভুগছেন। আর্থিক অস্বচ্ছলতায় নিয়মিত ওষুধ না খাওয়ায় এই রোগগুলো আরও বাড়তে থাকে।’
সোহরাওয়ার্দীতে গত কয়েকদিন ধরেই মুক্তিযোদ্ধা ছাত্তারের চিকিৎসা চলছিল জানিয়ে ডা. সুব্রত বলেন, ‘উনার বিভিন্ন টেস্ট করানো হয়েছে। মেডিক্যাল রির্পোট অনুযায়ী বর্তমানে তিনি মোটামুটি সুস্থ্ আছেন। নিয়মিত ওষুধ খেতে হবে এবং ফলো আপে থাকতে হবে।’ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া মুক্তিযোদ্ধা ছাত্তারের প্রতিমাসের ওষুধের ব্যবস্থা করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রতি দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
মুক্তিযোদ্ধা ছাত্তার জানিয়েছিলেন, চার বার হার্ট অ্যাটাক ও তার দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, মুক্তিযোদ্ধা ছাত্তারের দীর্ঘমেয়াদী হৃদরোগের সমস্যা রয়েছে। আর সর্বশেষ হার্ট অ্যাটাকের পর ক্রেয়িটিনিন বেশি ছিল, ফলে তিনি কিডনির সমস্যায় ভুগছেন বলে মনে করছেন। বর্তমানে তার ক্রিয়েটিনিন স্বাভাবিক রয়েছে। ফলে কিডনির চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে দু:শ্চিন্তার তেমন কিছু নেই।
মুক্তিযোদ্ধা ছাত্তারের চিকিৎসার বিষয়ে জানতে চাইলে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ছাত্তারের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছি। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হয়েছে। চিকিৎসা বিষয়ে উনার যা সহযোগিতা প্রয়োজন আমরা তা করবো। সকল মুক্তিযোদ্ধার চিকিৎসা আমরা বিনামূল্যে করাবো, তবে উনাকে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হতে হবে।’
মুক্তিযোদ্ধা ছাত্তার চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার সম্পূর্ণ চিকিৎসা ফ্রি হয়েছে। উনারা (ডা. সুব্রতসহ আরও অনেকেই) নিজের কাজ ফেলে আমার জন্য সময় দিয়েছেন। ওষুধের ব্যাপারেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’

মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৯

পাচারকৃত শিশুদের বানানো চকলেট খাচ্ছি!



ডা. অপূর্ব পন্ডিত- ২৭ নভেম্বর’১৯: খুব শখ করে আমরা যে চকলেট খাচ্ছি, আসলে এসব চকলেট বানায় পাচারকৃত নির্যাতিত ধর্ষিত আফ্রিকান শিশুরা। সব শিশুদেরই ছোট বেলার অনেক গুলো স্বপ্নের একটি হলো - " একটা বিরাট বড় চকলেটের রাজ্যে চিরদিনের জন্য হারিয়ে যাবো।  অনেক চকলেট থাকবে আর সারাদিন খালি চকলেট খাবো!"
পৃথিবীজুড়ে হাতের মুঠোর এই চকলেট আসছে   চকলেটের রাজ্য  আফ্রিকার আইভোরি কোস্ট এবং ঘানা থেকে। পৃথিবীর প্রায় ৭০% চকলেট চাষ হয় এই দুই দেশে। কিন্তু সেই দেশের শিশুদের কাছে এটি মোটেও স্বপ্ম নয় ; বিভীষিকা।  সেখানে কোকো ফার্ম গুলোতে চরমভাবে অবমাননা করা হচ্ছে শিশু অধিকারকে।
দক্ষিণ আমেরিকা এবং আফ্রিকার অন্যান্য দেশগুলো থেকে পাচারকৃত শিশুদের এখানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করানো হচ্ছে। সস্তায় কোকো পাওয়ার আশায় এসব দেশে শিশুশ্রম প্রচলিত। অভাবের জন্য মাতা পিতারাও অনেকসময় সন্তান বিক্রি করে এবং তাদের পাচার করা হয় এসব চকলেট ফার্মে।
প্রায় ৮ লক্ষের বেশি কৃষ্ণাঙ্গ শিশুদের দিয়ে দিনরাত কাজ করানো হয়, করা হয় নির্যাতন। এদের ৪০% মেয়েশিশু যাদের অধিকাংশেরই হতে হয় ধর্ষণের শিকার। এই বিশ্বায়নের যুগেও চকলেটের মতো এমন পছন্দের একটি খাবার তৈরির এই ভয়াবহ নির্যাতন চিত্র তাই আজ মানবতার কলঙ্ক।

‘Gastro liver treatment to be available in hospitals’



Health Desk-26 Nov, 2019: Health and Family Welfare Minister Zahid Maleque on Monday said gastro liver treatment service would be available in all hospitals across the country.
“A large number of people of the country are suffering from stomach diseases due to having adulterated foods. And many people are taking drugs frequently for gastric. All hospitals of the country would be equipped to deal with the disease,” the minister said.
The health minister made the statement while inaugurating the indoor and endoscopy services of Sheikh Russel Gastro Liver Institute and Hospital at Mohakhali in the capital. Zahid Maleque said the hospital is ready to provide the medical services which are not available in any other hospitals in the subcontinent.
Sheikh Russel Gastro Liver Institute and Hospital director Faruq Hassan presided over the inaugural function while Directorate General of Health Services (DGHS) Director General Prof Abul Kalam Azad, gastro liver hospital former director Prof Mahmud Hassan and National Institute of Cancer Research and Hospital director Prof Moarraf Hossen, among others, were present at the programme.

সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৯

ভারতে দুই মাথা ও ৩ হাতওয়ালা অদ্ভুত শিশুর জন্ম



স্বাস্থ্য ডেস্ক: ২৬ নভেম্বর’১৯: ভারতের মধ্যপ্রদেশে দুই মাথা ও তিন হাতওয়ালা অদ্ভুত শিশুর জন্ম দিয়েছেন এক গৃহবধূ।
রবিবার রাজ্যটির গাঞ্জবাসোদা এলাকায় ওই অদ্ভুত শিশুটির জন্ম দেন ববিতা আহিরওয়ার নামে এক নারী। নবজাতকটির দুটি মাথা, তিনটি হাত। এমনই বিরল ঘটনার সাক্ষী মধ্যপ্রদেশ।
সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুসহ তার মা ২১ বছরের ববিতা আহিরওয়ার আপাতত আইসিইউতে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আর পাঁচটি শিশুর মতো একটি হৃৎপিণ্ড নিয়ে জন্মালেও নবজাতকের তিনটি হাতে দুটি করে হাতের পাতা রয়েছে।
ববিতার এটি প্রথম সন্তান। তার বিয়ে হয়েছে দেড় বছর আগে।

শীতকালীন লাউয়ের উপকারিতা




স্বাস্থ্য ডেস্ক: ২৬ নভেম্বর’১৯: শীতকালীন পুষ্টিকর সবজির মধ্যে অন্যতম হলো লাউ। তবে এখন সারাবছরই লাউ চাষ হয়। কিন্তু স্বাদের দিক থেকে শীতকালীন লাউয়ের জুড়ি নেই। লাউ নানাভাবে খাওয়া যায়। মাছের সঙ্গে, লাবড়া, নিরামিষ, ভাজি, ডালের মধ্য দিয়ে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। লাউ যেভাবে খান না কেন, স্বাদ ও পুষ্টি থেকে কখনই বঞ্চিত হবেন না। শীতে লাউ বেশি খাওয়া হয় বলে রোগ প্রতিরোধ শক্তিও বৃদ্ধি পায়। যার কারণে নানা রোগ থেকেও দূরে থাকা সম্ভব হয়।
লাউয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান ও পানি। এর পাশাপাশি রয়েছে উপকারি ফাইবার। প্রতি ১০০ গ্রাম লাউয়ে আছে- খাদ্যশক্তি ১৪ কিলোক্যালরি, আমিষ ০.৬২ গ্রাম, শর্করা ৩.৩৯ গ্রাম, ভিটামিন সি ১০.১ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম ১৫০ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ১১ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৬ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ২ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ১৩ মিলিগ্রাম এবং ফাইবার .০৫ গ্রাম।
লাউ খেলে যে উপকারগুলো পাওয়া সম্ভব তা জেনে নেওয়া যাক ...
ওজন কমায়:
কম ক্যালরির খাবার হিসেবে লাউ আদর্শ খাবার। লাউয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার এবং খুবই কম ক্যালোরি ও ফ্যাট থাকে যা ওজন কমাতে অত্যন্ত সহায়ক। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতেও সাহায্য করে লাউ।
হার্ট ভালো রাখে:
লাউয়ে কলেস্টেরলের পরিমাণ শূন্য, তাই লাউ হার্টের জন্য ক্ষতিকর তো নয়ই বরং উপকারী। এতে রয়েছে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা হার্টের জন্যে খুবই স্বাস্থ্যকর। আবার ক্যালরির পরিমাণ কম থাকায় ডায়াবেটিস রোগীরা পেট ভরে খেতে পারেন লাউ।
হজম ও পাইলসে উপকারী:
প্রচুর পরিমাণে দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় ফাইবার এবং পানি থাকে লাউয়ে। দ্রবণীয় ফাইবার খাবার হজম করতে সাহায্য করে এবং হজম সংক্রান্ত সমস্যা যেমন- কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপা ও এসিডিটির সমস্যা দূর করে। যারা পাইলসের সমস্যা আছেন তারা লাউ খেলে অনেক উপকার পাবেন।
পানির শূন্যতা দূর করে:
শীতের সময় সাধারণত পানি কম খাওয়া হয়, তাই লাউ খেলে পানির শূন্যতা অনেকটাই পূরণ হবে। কারণ লাউয়ের মূল উপাদান হলো পানি।
ভালো ঘুম হয়:
লাউ এবং লাউ শাক খেলে মস্তিষ্ককে ঠাণ্ডা থাকে এবং দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। যার কারণে ইনসমনিয়া বা নিদ্রাহীনতা দূর করে পরিপূর্ণ ঘুমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে লাউ।
ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করে:
লাউ পেট পরিষ্কার রাখার কারণে মুখে ব্রণ ওঠার প্রবণতাও কম থাকে। আবার ত্বকের ভেতর থেকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে লাউ। যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা লাউ খেলে ত্বকের তৈলাক্ত ভাব অনেকটাই কমে যাবে।
শুধু লাউ নয় এর বিচি এবং ছোলাও পুষ্টিকর। লাউয়ের বিচির ভর্তা এবং ছোলার ভাজি খেতেও অনেক স্বাদের।

যেসব কারণে রোগ সারাতে পারছেনা অ্যান্টিবায়োটিক




স্বাস্থ্য ডেস্ক: ২৬ নভেম্বর’১৯: বাংলাদেশে সম্প্রতি রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআরের এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিকের মধ্যে অন্তত ১৭টির কার্যক্ষমতা অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে।
এসব অ্যান্টিবায়োটিক মূলত মূত্রনালির সংক্রমণ, নিউমোনিয়া এবং জখম সারানোসহ নানা ধরণের সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হতো।
এর ফলে এখন কার্যক্ষমতা হারাচ্ছে অন্য ওষুধও। গবেষকেরা বলছেন, এর ফলে শিশু এবং হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রোগীরা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।
কী আছে গবেষণায়?
আইইডিসিআরের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ডা. জাকির হোসাইন হাবিব দেশের ৯টি মেডিকেল কলেজের রোগীদের ওপর গবেষণা চালিয়েছেন।
তিনি দেখেছেন, দেশে গত কয়েক দশকের মধ্যে অন্তত ১৭টি অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে।
‘অর্থাৎ এগুলো অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টান্ট হয়ে গেছে, যারা মানে হলো অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে ব্যাকটেরিয়ার প্রতিরোধী হয়ে ওঠা। অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ায় এমন অবস্থায় রোগীদের ওপর রিজার্ভ অর্থাৎ প্রচলিত নয় এমন অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োগ বেড়ে গেছে।’
ডা. হাবিব জানিয়েছেন, গবেষণায় দেখা গেছে, জীবাণুর মধ্যে ক্ষত সংক্রমণ জীবাণু প্রায় ৫৭ শতাংশ সক্রিয় ছিল, অর্থাৎ এগুলো প্রচলিত ওষুধ দিয়ে সারানো সম্ভব হচ্ছিল না।
অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টান্ট হবার কারণ কী?
স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক সানিয়া তাহমিনা বলেন, বাংলাদেশে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বিক্রির ক্ষেত্রে কোন নীতিমালা নেই। কিছু নির্দেশনা থাকলেও সেগুলো বিক্রেতা বা ক্রেতা কেউই মানে না।
তিনি জানিয়েছেন, কয়েকটি কারণে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টান্ট হয়ে থাকে, এর মধ্যে প্রধান কয়েকটি হলো---
• বিনা প্রেসক্রিপশনে ঘনঘন অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করলে
• পুরো কোর্স শেষ না করে মাঝপথে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া বন্ধ করলে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না
• প্রয়োজনের তুলনায় স্বল্প ডোজের অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হলে
• ভাইরাসজনিত কোন অসুখে, অর্থাৎ যেসব ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সময় পরে এমনি সেরে যেত, সেখানে বিশেষ করে শিশুদের অ্যান্টিবায়োটিক দিলে
পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ?
আইইডিসিআরের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ডা. হাবিব জানিয়েছেন পরিস্থিতি যথেষ্ট ভয়াবহ।
‘কারণ বাংলাদেশে বহু মানুষ বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষ চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে ফার্মেসীতে গিয়ে অ্যান্টিবায়োটিক কিনে সেবন করে। তাদের মধ্যে ধারণাই নাই যে এর ফলে তার শরীর অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টান্ট হয়ে যাচ্ছে এবং পরবর্তীতে কোন সংক্রমণ হলে সেটা আর কোন ওষুধে হয়তো সারবে না।’
এর ফলে যে অ্যান্টিবায়োটিককে মনে করা হতো যে কোনো জীবাণুর বিরুদ্ধে অব্যর্থ, তা এখন অনেক ক্ষেত্রে কাজই করছে না।
অধ্যাপক তাহমিনা বলছেন, আরেকটি ঝুঁকি হচ্ছে, মানুষের সঙ্গে-সঙ্গে প্রাণীর ওপরেও অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার হয়, যা কখনোই পুরোপুরি বিলীন হয় না, মাটিতে রয়ে যায়।
এর ফলে আমরা যা খাই, সবজি, ফল বা মাছ মাংস এর মধ্যে থেকে যাওয়া অ্যান্টিবায়োটিকের কারণে আমাদের শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্টান্ট হয়ে থাকে।
তিনি বলেন, আমরা প্রতিদিন যেসব খাবার খাচ্ছি তার অনেকগুলো থেকেই অ্যান্টিবায়োটিক শরীরে প্রবেশ করতে পারে। যেমন-
• মুরগীর মাংস
• গরু বা খাসীর মাংস
• দুধ এবং দুগ্ধ জাতীয় খাবার
• মাছেও হরমোন ব্যবহার করা হয়, সেখানেও এন্টিবায়োটিক দেওয়া হয় রোগ প্রতিরোধী করার জন্য
• শাক-সবজি যদিও এতে সরাসরি অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়না। তবে কীটনাশক দেওয়া হয়।
কারা বেশি বেশি ঝুঁকিতে?
চিকিৎসক এবং গবেষকেরা বলছেন, এর ফলে শিশু এবং হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রোগীরা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। সেজন্য সরকারকে এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য ব্যাপক উদ্যোগ নিতে হবে বলে মনে করেন তারা।
ঢাকার আহসানিয়া মিশন জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মাসুমা নাওয়ার বলছেন, ‘শিশুদের ক্ষেত্রে প্রথমত পরিবার থেকে যদি নিশ্চিত করা যায় যে বিনা প্রেসক্রিপশনে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া যাবে না, তাহলে এ সমস্যার একটি সমাধান হতে পারে। দ্বিতীয়ত ডোজ শেষ করতে হবে, মানে অসুখ একটু প্রশমন হলেই ওষুধ খাওয়া বন্ধ করা যাবে না।’
‘বিনা প্রয়োজনে বা অল্প অসুখে ঘাবড়ে গিয়ে নিজে থেকে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া শুরু করা যাবে না। তবে এক্ষেত্রে নিম্ন আয়ের স্বল্প শিক্ষিত মানুষেরা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন, কারণ তারা জানেও না বিষয়টির ভয়াবহতা।’
যে কারণে ডা. মাসুমা মনে করেন এক্ষেত্রে সরকারকেই মূল দায়িত্ব পালন করতে হবে।

বিদেশী চিকিৎসকদের ব্যাপারে কার্যকর নীতিমালার দাবি জানালো এফডিএসআর



ডা. অপূর্ব পন্ডিত- ২৬ নভেম্বর’১৯: ডাক্তারদের সংগঠন ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি এন্ড রাইটস (এফডিএসআর), স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের অধীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিকট দেশে চিকিৎসা দিতে আসা বিদেশী চিকিৎসকদের ব্যাপারে নীতিমালা কার্যকর করার দাবি জানিয়েছে ।
রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কার্যালয়ে এক সাক্ষাৎকালে এ দাবি জানিয়েছেন এফডিএসআর ।
এসময় এফডিএসআরের উপদেষ্টা ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ডা. আব্দুন নূর তুষার, মহাসচিব ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষাৎকালে বিদেশি চিকিৎসকদের বাংলাদেশে প্রাকটিস করার অনুমোদন সংক্রান্ত বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভূমিকা, নীতিমালা, কর্মপরিধি এবং করণীয় বিষয়ে আলোচনা হয়।
এফডিএসআর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিকট বিদেশী চিকিৎসকদের ব্যাপারে কয়েকটি অভিযোগ তুলে ধরেন। এফডিএসআর এর উপদেষ্টা ডা. আব্দুন নূর তুষার তথ্য অধিকার বিধিমালা অনুযায়ী তথ্য প্রাপ্তির ফরমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক হাসপাতাল বরাবর দুইটি তথ্য সরবরাহের জন্য আবেদন করেন। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিগত পাঁচ বছরে অর্থাৎ জুন ২০১৯ পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে মোট কতজন বিদেশী চিকিৎসক অনুমতি সংগ্রহ করেছে, আবেদন করেছে, বাংলাদেশ দায়িত্ব পালন করেছে এবং করছে এবং বর্তমানে যারা কর্মরত আছে তাদের নাম, পদবী, কর্মস্থল, শিক্ষাগত যোগ্যতা বা ডিগ্রী অনুমতি প্রদানের তারিখ এবং অনুমতির মেয়াদ। আগামী ২০ দিনের মধ্যে তথ্য অধিকার বিধিমালা অনুযায়ী তারা এই তথ্য প্রদান করবেন। সে সময় শেষ হলে অতিরিক্ত ১০ দিন সময় পাবেন, সে সময়ের মধ্যে তথ্য সরবরাহ না করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।
গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে এফডিএসআরের নেতারা বলেন, এসব বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পেলে সে অনুযায়ী বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত বিদেশি চিকিৎসকের ব্যাপারে অনুসন্ধান করে, অননুমোদিতভাবে অথবা নীতিমালা বহির্ভূতভাবে অনুমোদিত বিদেশী চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৯

ক্যালিফোর্নিয়ায় স্কুলে গোলাগুলি, ২ শিশু নিহত



স্বাস্থ্য ডেস্ক: ২৫ নভেম্বর’১৯: যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সান ফ্রান্সিসকোর একটি স্কুলে গোলাগুলির ঘটনায় দুই শিশু নিহত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার স্কুলের পার্কিয়ে ওই গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। সেখানে এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা খুবই বিরল।
শনিবার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা ৯১১-য়ে ফোন দিয়ে সাহায্য চাইলে এই ঘটনা সামনে আসে। একটি স্কুলের কাছ থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১১ ও ১৪ বছর বয়সী দুই শিশুকে একটি ভ্যানের মধ্যে পেয়েছে। তারা দু'জনেই গুলিবিদ্ধ ছিল। ঘটনাস্থলেই ১৪ বছর বয়সী শিশুটির মৃত্যু হয়। অপর শিশুটিকে হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
শনিবার মধ্যরাতে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে এত রাতে পার্কিয়ে ওই দুই শিশু কেন ছিল বা তাদের সঙ্গে অন্য কেউ ছিল কি-না তা এখনও পরিষ্কার নয়।
পুলিশ নিহতদের নাম প্রকাশ করেনি। এই ঘটনার তদন্ত চলছে। প্রতিবেশীরা ১৫ থেকে ২০ রাউন্ড গুলির শব্দ শুনতে পেয়েছে বলে জানিয়েছে।

বাংলাদেশে সেবা অফিস খুলল ভারতের মনিপাল হাসপাতাল



স্বাস্থ্য ডেস্ক: ২৫ নভেম্বর’১৯: বাংলাদেশে সেবা ও ইনফরমেশন অফিসে খুলেছে ভারতের মনিপাল হাসপাতাল। রোববার ঢাকার তেজগাঁও-গুলশান লিংক রোডে এই সেবা অফিস উদ্বোধন করা হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে জানানো হয়, মনিপাল হাসপাতাল ভারতের অন্যতম প্রধান মাল্টি ডিসিপ্লিনারি স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, যা ভারত ও বহির্বিশ্বের রোগীদের সেবা প্রদান করছে। পাঁচ হাজারেরও বেশি অপারেশনাল বেড নিয়ে মনিপালের প্রধান লক্ষ্য মানুষের জন্য সুস্থতা নিশ্চিত করা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মনিপাল তার হাসপাতাল নেটওয়ার্ক ও সুদক্ষ স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের সহায়তায় সাধ্যের মধ্যে উন্নত সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। মনিপাল হাসপাতালের এই অফিসটির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় থাকবে বাংলাদেশের গ্লোবাল বিডি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মনিপাল হাসপাতাল এবং গ্লোবাল বিডি বাংলাদেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গ্লোবাল বিডি বাংলাদেশের ডিরেক্টর জুয়েল খান বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ এক শ্রেণির দালালদের হাতে পড়ে ভারতের অখ্যাত হাসপাতালে ভুল চিকিৎসা নিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন। এই ইনফরমেশন ও সেবা অফিস প্রতিষ্ঠার ফলে রোগীরা অতিদ্রুত মনিপাল গ্রুপের যেকোনো হাসপাতালে চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারবেন। এর ফলে পূর্ব-নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চিকিৎসক দেখিয়ে সঠিক চিকিৎসা নিয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসতে পারবেন। শিগগিরই বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি নিয়ে হেলথ ক্যাম্প এবং টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে চিকিৎসা পরামর্শ প্রদান করা হবে।’
মনিপাল হাসপাতালের কর্পোরেট রিজিওনাল হেড-সার্ক কান্ট্রিজ রাম গোপাল বর্ধন বলেন, ‘এই অফিস প্রতিষ্ঠার ফলে বাংলাদেশের রোগী, চিকিৎসক এবং অন্য প্রফেশনালরা মনিপাল হাসপাতালের সকল তথ্য একই স্থান থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন। রোগী চিকিৎসা-সংক্রান্ত কাগজপত্র রিভিউ, ভিসা অ্যাসিস্ট্যান্স, হোটেল বুকিং, এয়ারপোর্ট পিক/ড্রপ, এয়ার টিকিট এবং হাসপাতালে দোভাষী সুবিধা পাবেন।’


বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বায়ু দূষণ বাংলাদেশে



স্বাস্থ্য ডেস্ক: ২৫ নভেম্বর’১৯: বিশ্বে সবচেয়ে দূষিত বায়ুর দেশ এখন বাংলাদেশ। বায়ু দূষণের দিক দিয়ে বাংলাদেশের ধারে কাছেও নেই কোনো দেশ। প্রায় ২১ পিএম কম বায়ু দূষণ নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান। এরপর ভারত, আফগানিস্তান, বাহরাইন।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বৈশ্বিক বায়ু দূষণ পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান এয়ার ভিজ্যুয়ালের সর্বশেষ তথ্য এগুলো।
তাদের তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশে গড় বায়ু দূষণের পরিমাণ ৯৭ দশমিক ১০, যেখানে পাকিস্তানের ৭৪ দশমিক ২৭, ভারতের ৭২ দশমিক ৫৪, আফগানিস্তানের ৬১ দশমিক ৮০ এবং বাহরাইনের ৫৯ দশমিক ৮০ পিএম২.৫।
এয়ার ভিজ্যুয়াল ঘণ্টায় ঘণ্টায় বায়ু দূষণের তথ্য হালনাগাদ করে। সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বিশ্বে সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহরের মধ্যে ৫ নম্বরে ছিল ঢাকা। ওই সময় ঢাকা শহরে বায়ু দূষণের পরিমাণ ছিল ১৭১ পিএম। তখন ২০৯ পিএম নিয়ে প্রথমে ভারতের দিল্লি, তারপর ১৯২ পিএম নিয়ে পাকিস্তানের লাহোর, ১৮৭ পিএম নিয়ে কলকাতা ও ১৮২ পিএম নিয়ে মঙ্গলিয়ার উলানবাতর চতুর্থ স্থানে ছিল।

তীব্র বায়ু দূষণের ফলে ভারতসহ বিভিন্ন দেশ সতর্কতা জারি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হলেও বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত এ ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়নি।http://bangla.amarhealth.com/environment/14329/