রবিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৯

মশক নিধনে ‘অকার্যকর’ ওষুধ এখনও ব্যবহার করছে ডিএনসিসি



স্বাস্থ্য ডেস্ক: ২৮ অক্টোবর ২০১৯: ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে নতুন ওষুধ ব্যবহার করতে প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি উচ্চ আদালতের নির্দেশ রয়েছে। সে অনুযায়ী বিশেষ বিমানযোগে চীন ও ভারত থেকে নতুন ওষুধ আমদানি করে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি ও ডিএসসিসি)। এজন্য পৃথক দুটি টেকনিক্যাল কমিটিও গঠন করা হয়। কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই আবারও পুরনো ‘অকার্যকর’ ওষুধ ব্যবহার করছে ডিএনসিসি। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে ও মাঠপর্যায়ে সরেজমিনে গিয়ে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। তবে ডিএনসিসি বলছে, তারা পুরনো ওষুধের পাশাপাশি নতুন ওষুধও ব্যবহার করছে।
গত ৭ আগস্ট এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন বলেন, ‘বেশ কয়েকটি উপাদানের সংমিশ্রণে আমরা একটি ওষুধ ব্যবহার করি। তার মধ্যে একটি উপাদান নিয়ে এক ব্যক্তি গবেষণা করেছে। ওই গবেষণায় দেখা গেছে, ওষুধের একটি উপাদান অকার্যকর। বাকি দুটি উপাদানের কার্যকারিতা আছে। তবে ওই ওষুধটি আমাদের নিজস্ব ফিল্ড পরীক্ষা, প্ল্যান প্রোটেকশন উইংয়ের পরীক্ষা ও আইইডিসিআরের পরীক্ষায় কার্যকরিতা পাওয়া গেছে। পরে তারা মিডিয়াতে এটা ছড়িয়ে দেন। তখন আমাদের মেয়র মহোদয় বলেছেন, যেহেতু অভিযোগ আছে, তাই এর চেয়েও যদি বেশি কার্যকর ওষুধ পাওয়া যায়, আমরা সেটি ব্যবহার করবো।’
এর পর চীনের নানজিং ইকো ফার্ম বায়োটেকনোলজি লিমিটেড থেকে ম্যালাথিউন ওষুধ আমদানি করে ডিএনসিসি। এজন্য বিশিষ্ট কীটতত্ত্ববিদ মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশারের নেতৃত্বে একটি কারিগরি কমিটি গঠন করে ডিএনসিসি।
অভিযোগ উঠেছে সেই অকার্যকর পুরনো ওষুধ ব্যবহার বন্ধ করেনি ডিএনসিসি, বিষয়টি স্বীকার করেছেন ডিএনসিসির মশক সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির প্রধান।
http://bangla.amarhealth.com/healthcrime

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন