বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৯

তিন লাখ মানুষের সেবায় চার চিকিৎসক


স্বাস্থ্য ডেস্ক: ৩১ অক্টোবর ২০১৯: কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় তিন লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবায় ভরসা এখন মাত্র ৪ চিকিৎসক। প্রয়োজনীয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন জনসাধারণ। ২১ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পদ থাকলেও মাত্র চারজন চিকিৎসক রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। অ্যাম্বুলেন্সসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকলেও চিকিৎসক ও জনবল সংকটের কারণে জনসাধারণকে চাহিদা অনুসারে সেবা প্রদান করা যাচ্ছে না। এদিকে রোগীর উপচেপড়া ভিড় সামলাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জমির মো. হাসিবুস সাত্তার দাপ্তরিক কাজের পাশাপাশি আউটডোর ও ইনডোরে সেবা প্রদান করে আসছেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ২০১২ সালে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হয় এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। তবে চিকিৎসকসহ জনবল সংকট ও সরঞ্জামাদি না থাকায় কার্যক্রম চলছে ৩১ শয্যার। ২১ জন চিকিৎসকের বিপরীতে চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র চারজন। নেই কোনো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। একজন গাইনি বিশেষজ্ঞ ছিলেন তিনিও কিছুদিন হলো বদলি হয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে এখন তীব্র চিকিৎসক সংকট চলছে। প্রতিদিন আউটডোরে গড়ে ৪০০ থেকে ৪৫০ জন রোগী আসেন চিকিৎসা নিতে। বিশাল এ রোগীর বহর সামলাতে হিমশিম খেতে হয় ওই চার চিকিৎসককে। তাছাড়া এ উপজেলায় কোনো প্রাইভেট হাসপাতাল না থাকায় বিশাল এ জনগোষ্ঠীর একমাত্র ভরসা এ হাসপাতাল। এক্স-রে মেশিন, ইসিজি, আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিনসহ যাবতীয় মেশিনপত্র থাকলেও প্রয়োজনীয় জনবল সংকটের কারণে এর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলাবাসী। গত এক বছরেও বেশি সময় ধরে এ হাসপাতালে চলছে চিকিৎসকসহ জনবল সংকট। শিগগিরই এ হাসপাতালে চাহিদা অনুসারে চিকিৎসক ও জনবল পোস্টিং দেয়ার দাবি এলাকার জনসাধারণের।http://bangla.amarhealth.com/healthcrime/14176/-----

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন