সোমবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৯

ডায়বেটিস ও হার্টের রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারি করমচা




স্বাস্থ্য ডেস্ক: ২৮ অক্টোবর ২০১৯: করমচা ফলটি অনেকের কাছেই অপরিচিত। কিন্তু অপরিচিত এই ফলটি নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর। ফলটি দেখতেও বেশ আকর্ষণীয়। পুষ্টিগুণ সম্পন্ন করমচায় রয়েছে, শর্করা, প্রোটিন, ভিটামিন ‘সি’, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, কপার প্রভৃতি। যাদের রক্তে পটাশিয়ামের পরিমাণ কম, তারা নিয়মিত এই ফলটি খেতে পারেন। এর অনেক ঔষধি গুণও রয়েছে। যা অনেক রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। করমচাতে কোনো ফ্যাট বা কোলেস্টেরল নেই। তাই ডায়াবেটিস ও হার্টের রোগীদের জন্য এ ফল খুবই উপকারি। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক করমচার আরো গুণাগুণ সম্পর্কে-
১. করমচা গাছের মূলে রয়েছে হৃদরোগ নিরাময়ে উপকারি ক্যারিসোন, বিটাস্টেরল, ট্রাইটারপিন, ক্যারিনডোনা ও লিগনাম। এসব উপাদান রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রেখে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। শরীরের অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ কমাতেও করমচা সাহায্য করে।
২. ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৩. এর ভিটামিন ‘সি’ খাবারের রুচি বাড়িয়ে তোলে।
৪. সর্দি-জ্বর নিরাময়ে বেশ সহায়ক করমচা।
৫. করমচা বাতরোগ ও ব্যথাজনিত জ্বর নিরাময়ে উপকারি।
৬. স্কার্ভি, দাঁত ও মাড়ির নানা রোগ প্রতিরোধ করে।
৭. করমচাতে উপস্থিত ভিটামিন ‘বি’ শরীরের চুলকানিসহ ত্বকের নানা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৮. যকৃৎ ও কিডনি রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। এর পটাশিয়াম শরীরের বর্জ্য পরিষ্কারে সহায়তা করে।
৯. কৃমিনাশক হিসেবেও কাজ করে করমচা। তাছাড়া পেটের নানা ধরনের অসুখও নিরাময় করে।
১০. ক্লান্তি ও বারবার হাই তোলা থেকে মুক্তি পেতে করমচার রস বেশ কাজে দেয়।
১১. করমচা চোখের জন্য খুবই উপকারি।
১২. করমচা কার্বোহাইড্রেট কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
১৩. করমচা গাছের পাতা সেদ্ধ করে সেই পানি পান করলে কালাজ্বর দ্রুত নিরাময় হয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন