মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৯

শিশুসাহিত্যিক সুকুমার রায়ের জন্মবার্ষিকী আজ



স্বাস্থ্য ডেস্ক: ৩০ অক্টোবর ২০১৯: ১৮৮৭ সালের আজকের এই দিনে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদিতে জন্নগ্রহণ করেন শিশু সাহিত্যিক সুকুমার রায়। এই বাঙালি লেখক একাধারে, ছড়াকার, শিশুসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, রম্যরচনাকার ও নাট্যকার। তিনি ভারতীয় সাহিত্যে ‘ননসেন্স রাইম’-এর প্রবর্তক।
সুকুমার রায়ের মায়ের নাম বিধুমুখী দেবী। তিনি ছিলেন ব্রাহ্মসমাজের দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের মেয়ে। পিতা উপেন্দ্রকিশোর ছিলেন শিশুতোষ গল্প ও জনপ্রিয়-বিজ্ঞান লেখক, চিত্রশিল্পী, সুরকার ও শৌখিন জ্যোতির্বিদ।
কলকাতার সিটি স্কুল থেকে এন্ট্রাস পাশ করেন সুকুমার রায়। পরে ১৯০৬ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে রসায়ন ও পদার্থবিদ্যায় বি.এস.সি. (অনার্স) করার পর মুদ্রণবিদ্যায় উচ্চতর শিক্ষার জন্য ১৯১১ সালে তিনি বিলেত গমন করেন। সেখানে আলোকচিত্র ও মুদ্রণ প্রযুক্তির ওপর পড়াশোনা করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি ভারতের অগ্রগামী আলোকচিত্রী ও লিথোগ্রাফার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।
১৯১৩ সালে সুকুমার কলকাতাতে ফিরে আসেন। বিলেতে অবস্থানকালে তার বাবা উপেন্দ্রকিশোর জমি ক্রয় করে, উন্নত-মানের রঙিন হাফটোন ব্লক তৈরি ও মুদ্রণক্ষম একটি ছাপাখানা স্থাপন করেন। তখন থেকে সুকুমার ‘সন্দেশ’ নামের ছোটদের একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশনা শুরু করেন। সুকুমার বিলেত থেকে ফেরার কিছুদিনের মধ্যেই তার বাবা মারা যান।
বাবার মৃত্যুর পর ‘সন্দেশ’ পত্রিকা সম্পাদনার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন সুকুমার। মূলত তখন থেকেই শুরু হয় বাংলা শিশুসাহিত্যের এক নতুন অধ্যায়। পিতার মৃত্যুর পর আট বছর ধরে তিনি ‘সন্দেশ’ ও পারিবারিক ছাপাখানা পরিচালনা করেন।
অসাধারণ সাহিত্য বুননে শিশুতোষ সাহিত্য সম্ভার রচনা করতে থাকেন সুকুমার। রামগরুড়ের ছানা, পাগলা দাশু, আবোল তাবোল ওট্যাশ গরু’র মতো হৃদয়গ্রাহী শিশুসাহিত্যে তিনি আমাদের সাহিত্যভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করেছেন।
তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থাবলী হচ্ছে- পাগলা দাশু, আবোল তাবোল, হেশোরাম হুশিয়ারের ডায়েরি, খাই-খাই, অবাক জলপান, লক্ষণের শক্তিশেল, ঝালাপালা ও অনান্য নাটক, হ য ব র ল, শব্দ কল্প দ্রুম, চলচ্চিত্তচঞ্চরী, ভাষার অত্যাচার ও বহুরুপী।
১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে লেইশ্মানিয়াসিসে (কালাজ্বর) আক্রান্ত হয়ে মাত্র সাঁইত্রিশ বছর বয়সে সুকুমার মৃত্যুবরণ করেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন