রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৯

জিকা ভাইরাসের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ


স্বাস্থ্য ডেস্ক: ০৬ অক্টোবর’ ১৯: সারা দেশেই বেড়েছে এডিস মশা। এর মাধ্যমেই ছড়ায় আরেক বিপজ্জনক ভাইরাস জিকা। এডিস মশার ব্যাপক বিস্তার ও প্রতিবেশী দেশে আক্রান্ত রোগী থাকায় জিকা ভাইরাসের মারাত্মক ঝুঁকিতে বাংলাদেশে। কিন্তু দুটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ছাড়া দেশের কোনো হাসপাতালেই নেই জিকা শনাক্তের ব্যবস্থা।
১৯৪৭ সালে উগাণ্ডায় বানরের শরীরে প্রথম ধরা পড়ে জিকা ভাইরাস। ১৯৫২ সালে প্রথম শনাক্ত হয় মানবদেহে। এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের অনেক দেশে। ২০১৬ সালে প্রথম শনাক্ত হয় বাংলাদেশে।
ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ার মতো জিকাও ছড়ায় এডিস মশার মাধ্যমে। এর লক্ষণ ডেঙ্গুর মতো হলেও আশি ভাগের ক্ষেত্রেই ধরা পড়ে না। ভাইরাস শরীরে থাকে বছর ধরে। এমনকি জিকা ভাইরাসে আক্রান্তের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের মাধ্যমেও ছড়ায় ওই রোগ। জিকা আক্রান্ত হয়ে গর্ভবতী হলে অথবা গর্ভবতী জিকা আক্রান্ত হলে নানা শারীরিক ত্রুটি নিয়ে জন্ম নেয় শিশু।
কীটতত্ত্ববিদরা বলছেন, সারা দেশে এডিস মশার ব্যাপক বিস্তার এবং ভারত-নেপালে জিকা আক্রান্ত রোগী থাকায় মারাত্মক ঝুঁকিতে বাংলাদেশ।
আশঙ্কার কথা হলো আইইডিসিআর ও আইসিডিডিআরবি ছাড়া দেশের কোনো হাসপাতালেই নেই জিকা শনাক্তের ব্যবস্থা।
বিশ্ব স্বাস্থ্যের জন্য জিকা মারাত্মক হুমকি হলেও এখনো আবিষ্কার হয়নি ভ্যাকসিন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন