শুক্রবার, ১ নভেম্বর, ২০১৯

হাকীমপুরীসহ ২২ প্রতিষ্ঠানের জর্দা-গুলে বিষাক্ত কেমিক্যাল



স্বাস্থ্য ডেস্ক: ০২ নভেম্বর ২০১৯: বিষাক্ত কেমিক্যাল পাওয়া গেছে ২২ জর্দা, খয়ের ও গুলে। এ গুলোতে মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বিষাক্ত হেভি কেমিক্যাল লেড, ক্যাডামিয়াম ও ক্রোমিয়াম পেয়েছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ)। এগুলো দীর্ঘদিন খাওয়ার কারণে দাঁতের মাড়ি ও লিভার ক্যান্সারের মতো জটিল রোগ হয়।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইস্কাটনে বিএফএসএ’র এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান সৈয়দা সারওয়ার জাহান, সদস্য মাহাবুব কবীর, মঞ্জুর মোর্শেদ আহমেদ, অধ্যাপক মো. আব্দুল আলীমসহ সংস্থার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, হাকীমপুরী, শাহজাদী ও রতন জর্দাসহ দেশের ২২টি জর্দা গুল ও খয়েরে বিষাক্ত হেভি ক্যামিকেল লেড, ক্যাডমিয়াম, ক্রোমিয়াম পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১৩ প্রতিষ্ঠানের জর্দা, ৬ প্রতিষ্ঠানের খয়ের ও তিন প্রতিষ্ঠানের গুলের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। যার সবগুলোতে হেভি ক্যামিকেল লেড, ক্যাডমিয়াম, ক্রোমিয়াম এর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
নমুনা পরীক্ষা করা পণ্য গুলোর মধ্যে রয়েছে, গিলা খয়ের, তীর মার্কা খয়ের, মালাই খয়ের, অন্তরা খয়ের, কালো পাথর বাল্ক খয়ের, সাদা বাল্ক খয়ের, ইগল গুল, মোস্তফা গুল, শাহজাদা গুল, রতন জর্দা, হাকীমপুরী জর্দা, গুরুদেব জর্দা, শাহজাদি জর্দা (নির্মলের), মহিউদ্দিন জর্দা, ঢাকা জর্দা, মকিমপুর জর্দা, শাহী হীরা জর্দা, জাফরানী জর্দা, শাহজাদী জর্দা (আলম), বউ শাহজাদী জর্দা এবং চাঁদপুরী জর্দা।
এছাড়াও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, যারা পানের সঙ্গে খয়ের খান তাদের জন্য রয়েছে আরও বড় দুঃসংবাদ। কারণ এক ধরনের গাছের বাকল থেকে এই পণ্যটি তৈরির কথা থাকলেও সেটি কোনো কোনো ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ক্যামিকেল রং দিয়ে তৈরি করা হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেখা গেছে ফার্নিচারের বার্ণিশে ব্যবহারের জন্য যেসব কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় সেগুলো দিয়েই সরাসরি খয়ের তৈরি হচ্ছে। যার মধ্যে ক্ষতিকর ভারী ধাতু লেড, ক্রোমিয়াম ও ক্যাডমিয়ামের মতো পদার্থ পাওয়া গেছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন