শুক্রবার, ১ নভেম্বর, ২০১৯

বায়ুদূষণের শিকার দিল্লিতে শিক্ষার্থীদের জন্য ৫০ লাখ মাস্ক



স্বাস্থ্য ডেস্ক: ০২ নভেম্বর ২০১৯: ভয়াবহ দূষণের কারণে ভারতের রাজধানীতে টিকে থাকা দায় হয়ে পড়েছে। জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বিবেচনা করে
শিকার শিক্ষার্থীদের জন্য প্রায় পঞ্চাশ লাখ বিশেষ মাস্ক বিতরণ করেছেন ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
শুক্রবার ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিশেষ এই মাস্ক বিতরণের সময় দিল্লিকে গ্যাস চেম্বারের সঙ্গে তুলনা করেন তিনি।
এর আগে জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বিবেচনা করে দিল্লিতে জরুরি অবস্থা জারি করেন ভারতের সর্বোচ্চ আদালত। নয়াদিল্লি ছাড়াও পাশের আরও দুটি রাজ্যের প্রধান শহরকেও এ নির্দেশ মেনে চলতে বলা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেয়া বায়ুদূষণের মাত্রার চেয়ে প্রায় বিশগুন বেশি দূষিত হয়েছে নয়াদিল্লির বায়ু। এমন প্রেক্ষাপটে শহরের স্কুলগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া সকল কনস্ট্রাকশনের কাজ স্থগিত করা হয়েছে।
দিওয়ালির পর থেকে ক্রমেই বাড়ছে দিল্লির দূষণের মাত্রা, এখন তা উদ্বেগজনক অবস্থাও ছাড়িয়ে গেছে। এখন দিল্লির দূষণের মাত্রা ‘সিভিয়ার প্লাস’ বা ‘ইমার্জেন্সি’ শ্রেণিতে পড়ছে।
ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের আওতাভুক্ত পরিবেশ দূষণ (প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ) কর্তৃপক্ষ ১০ সদস্যের দূষণ-বিরোধী টাস্কফোর্স গঠন করেছে। টাস্কফোর্সের সুপারিশে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত দিল্লি-এনসিআর এলাকায় নির্মাণকাজের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি আতশবাজি পোড়ানোর উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি আছে।
যে সংস্থাগুলো প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার করে না সেগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শীতকালে দিল্লি ও তার আশপাশের এলাকায় বাজি ফাটানো যাবে না বলেও নির্দেশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে রাজধানীর এই অবস্থার জন্য প্রতিবেশি পাঞ্জাব ও হরিয়ানাকে দুষেছেন কেজরিওয়াল। তিনি মনে করেন: প্রতিবেশি দুই রাজ্যে বছরের এ সময়ে আবর্জনা পোড়ান কৃষকরা, যার কারণে ধোঁয়ায় ভরে যায় দিল্লি। দূষণের মাত্রা এতটাই বেড়েছে যে, প্রাতঃভ্রমণকারীদের পর্যন্ত সকালে মাস্ক পরে হাঁটতে বের হতে হচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন