ডা. অপূর্ব পন্ডিত
যেখানে
উন্নত বিশ্বে প্রায় প্রত্যেক চিকিৎসকেরই নিজস্ব গবেষণা থাকে সেখানে গবেষণার দিক থেকে
বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটা পিছিয়ে। সায়েন্টিফিক বাংলাদেশ নামক একটি পোর্টালে
প্রকাশিত জরিপে বিষয়টির সত্যতা মিলেছে। দেখা গেছে বাংলাদেশে গবেষণা পাবলিকেশনের সংখ্যা
খুবই কম।
প্রতিবেদনে
গবেষণায় যুক্ত থাকা যেসব প্রতিষ্ঠানের নাম এসেছে সেগুলো হলো- আইসিডিডিআর’বি, বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা মেডিক্যাল
কলেজ (ডিএমসি) ও ঢাকা শিশু হাসপাতাল।
আমাদের
দেশে পাবলিকেশন যে একেবারেই হয় না, তা নয়; কিন্তু বেশিরভাগই হয় নন ইন্ডেক্সড জার্নালে।
ভালো জার্নালে পাবলিকেশন না হওয়ার পিছনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকগণের ব্যস্ততাকে দায়ী
করা যেতে পারে। বিশেষজ্ঞগন বলছেন, বাংলাদেশে যদিও খুব কম সংখ্যক পাবলিকেশন বের হচ্ছে,
কিন্তু এগুলো দেশের বৈজ্ঞানিক উন্নয়নের জন্য যথেষ্ট। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের
চেয়ে বাংলাদেশের পাবলিকেশন খুবই নগণ্য। যেখানে ভারতীয় গবেষকরা ১,৭৫,০০০ এরও বেশী এবং
পাকিস্তানী গবেষকরা ২২,০০০ এরও বেশী ডকুমেন্ট প্রকাশ করেছেন, অথচ বাংলাদেশি গবেষকরা
মাত্র ৬০০০ ডকুমেন্ট প্রকাশ করেছেন তাও আবার কোন প্রকার স্বত্ব ছাড়াই।
স্বাস্থ্যসেবার
মান বাংলাদেশে বেশ উন্নয়নের দিকে যাচ্ছে বিশেষ করে বিগত দশ-পনেরো বছর সার্জিক্যাল লাইনে
বাংলাদেশের উন্নতি লক্ষণীয়। অগ্রগতির সাথে স্বাভাবিকভাবেই রয়েছে কিছু পিছিয়ে থাকা।
এর একটা হল স্বাস্থ্য গবেষণা, একটা দেশে যখন গবেষণা থাকে না তখন সেদেশের ভবিষ্যত থাকে
না।
আমাদের
নিজস্ব গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিজেদের গবেষণা ডকুমেন্ট প্রকাশের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি
করার ব্যপারে এখনই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা সময়ের দাবী। পাশাপাশি জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকগণকে
রোগির চাপ কমিয়ে গবেষণায় সুযোগ করে দিতে পারলে তবেই ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা
আরো তরান্বিত হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন