সোমবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৯


স্বাস্থ্য ডেস্ক: ০৩ ডিসেম্বর’১৯: ঢাকা ওয়াসার সরবরাহকৃত পানি জীবাণু ও দূষণমুক্ত করতে চার দফা সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদন দিয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি এই প্রতিবেদন জমা দেয়। এ বিষয়ে আগামী ৫ ডিসেম্বর শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে।
সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
প্রতিবেদনে নগরবাসীর জন্য সুপেয়পানি নিশ্চিতে চার দফা সুপারিশ করা হয়েছে।
১. পানিতে দূষণ বা জীবাণুর সংক্রমণ ঠেকাতে ঢাকা ওয়াসার উচিত পানি সরবরাহ লাইনগুলোর মেরামত করা ও লাইনগুলো আধুনিক করা। এ জন্য ঢাকা ওয়াসাকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।
২. ঢাকা শহরে সরবরাহকৃত পানির মান যাচাই ও মনিটরিং করার জন্য তৃতীয় কোনো পক্ষের মাধ্যমে ক্যাম্পেইন চালু করতে হবে। এছাড়া এ ক্যাম্পেইনের জন্য আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে। বছরজুড়ে এ ক্যাম্পেইন অব্যাহত থাকবে।
৩. ভোক্তাদের মধ্যে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন চালাতে হবে যাতে তারা বাসা-বাড়িতে থাকা পানির ট্যাংকি ও হাউসগুলো পরিষ্কার রাখে।
৪. অবৈধ পানির সংযোগ বন্ধ করতে হবে যাতে সুপেয় পানির সরবরাহ নিরাপদ থাকে ও পানি দূষণমুক্ত থাকে।
২০১৮ সালের ৬ নভেম্বর হাইকোর্টের দেয়া এক নির্দেশে ঢাকা ওয়াসার পানি আইসিডিডিআরবি, বুয়েট ও ঢাবি অনুজীব বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে। এই পরীক্ষার প্রতিবেদন গত ৭ জুলাই আদালতে দাখিল করা হয়।
ওই প্রতিবেদনে ৮টি নমুনায় ব্যাকটেরিয়াসহ ক্ষতিকর জীবাণু পাওয়ার কথা বলা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনেই ক্লোরিনের তথ্য রয়েছে। কিন্তু এই তথ্য অস্বীকার করে ঢাকা ওয়াসা। এ অবস্থায় ওয়াসা মিরপুর ও পাতলাখান লেনের পানি আবার পরীক্ষা করে গত ৩০ জুলাই আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।
এই দুটি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞ কমিটির মতামত জানতে চান আদালত। হাইকোর্টের এই নির্দেশে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করে। এই কমিটি ৭ ও ৩০ জুলাইয়ের প্রতিবেদন দেখে তাদের মতামত দিয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন