মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৯

বিআইসিসি’তে চলছে ‘ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো-২০১৯’


নোমান পাটোয়ারী- ১৫ অক্টোবর’১৯: রাজধানী ঢাকায় চলছে ‘ডিজিটাল ডিভাইস এবং ইনোভেশন এক্সপো-২০১৯’ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) তিন দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী চলবে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারের আইসিটি বিভাগ, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশ একসঙ্গে আয়োজন করছে এই প্রদর্শনী

প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের পথে দেশ এগিয়েছে অনেক দূর তাই এ প্রদর্শনীর প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ: কোনও কিছুই অসম্ভব নয়’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এর নেতৃত্বে ‘ডিজিটাল ডিভাইস এবং ইনোভেশন এক্সপো-২০১৯’ আয়োজন।
১৪ অক্টোবর সোমবার সকাল থেকে শুরু হলেও এদিন দুপুরে প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে লেজার শো-এর মাধ্যমে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।
এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী (আইসিটি) জুনাইদ আহমেদ পলক, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান এ কে এম রহমত উল্লাহ, আইসিটি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম, হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হোসনে আরা বেগম, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি শাহীদ উল মুনীর, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর।
জুনাইদ আহমেদ পলক তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ বছরে চার কোটি মোবাইল ফোনসেট আমদানি করে। সরকারের ব্যবসাবান্ধব নীতির কারণে গত এক বছরে ওয়ালটন, সিম্ফোনি, স্যামসাং আমাদের হাইটেক পার্কে সেট উৎপাদন করছে। বাংলাদেশ হাইটেক পার্কের মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তি ব্যবসায় উদ্যোক্তাদের সরকার সহযোগিতা করে আসছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। 
গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিস অ্যালায়েন্সের (ডব্লিউআইটিএসএ) মহাসচিব ড. জেমস জিম পয়সন্ট।
উদ্বোধনের আগে প্রধান বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ-আর এখন স্বপ্ন নয়, বাস্তব। তথ্যপ্রযুক্তির ছোয়া আজ দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা মহাকাশ বিশ্বে প্রবেশ করেছি। ক্রমবর্ধমান খাত হিসেবে সরকার সঠিক সময়ে দ্রুততার সঙ্গে আইসিটি খাতকে চিহ্নিত করতে পেরেছে। আমরা এখন ফাইভ জি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ব্লক চেইন-এসব নিয়ে কাজ করছি।
প্রসঙ্গত, ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে এবং ‘নাথিং ইজ ইম্পসিবল’ স্লোগানে আয়োজিত হচ্ছে এই ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো-২০১৯। এতে সহযোগী পার্টনার হিসেবে থাকছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য) ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার’স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি), বাংলাদেশ উইম্যান ইন টেকনোলজি এবং বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ)।
এবারের আয়োজনে থাকছে ৮টি জোনে প্রায় দুই শতাধিক স্টল ও প্যাভিলিয়ন। অংশ নিচ্ছে প্রায় দেড় শতাধিক প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী উন্মুক্ত থাকবে সবার জন্য। রেজিস্ট্রেশন সাপেক্ষে এতে বিনামূল্যে প্রবেশ করতে পারবেন সবাই। মেলায় আসা দর্শনার্থীদের জন্য থাকছে বিভিন্ন ধরনের সেমিনার ও প্রদর্শনী।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন