নোমান পাটোয়ারী।। ১১ অক্টোবর’১৯: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ১১ অক্টোবর শুক্রবার ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা থেকে প্রকাশিত আন্তর্জাতিক স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয় ঢাকাস্থ জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান।
অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘পাকিস্তানের ২৪ বছরের ইতহাসে বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে জাতীয়তাবাদের প্রেরণা দিয়েছেন। পূর্ববাংলার মানুষের বঞ্চনার কথা তুলে ধরে, তার থেকে মুক্তি লাভের পথ দেখিয়েছেন এবং সবশেষে স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। সে আহ্বান বৃথা যায়নি বংলাদেশের সৃষ্টি সেটিই প্রমাণ করে।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। তিনি তাঁর বক্তব্যে স্বাধীনতা যুদ্ধকালে পূর্বপাকিস্তান তথা বাংলাদেশের শরণার্থীদের প্রতি ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে অবস্থিত আগরতলার মানুষের আশ্রয় দেয়া সহ বিভিন্ন সহযোগিতার কথা স্মরণ করেন। তিনি আরো বলেন, ‘ ১৯৭১ সালে ভারতের তৎকালীন সহযোগিতা না পেলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন হয়তো আরো বিলম্বিত হতো।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মশতবর্ষ উদযাপন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন ঢাকার একুশে পদক প্রাপ্ত কবি অসীম সাহা, আগরতলা থেকে ড. আশীষ কুমার বৈদ্য, প্রাবন্ধিক নিয়তি রায় বর্মণ, কবি কল্যাণ গুপ্ত।
কবি অসীম সাহা তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আকাশ কত বড়, সমুদ্র কত বিশাল, তাও পরিমাপ করা যায়। কিন্তু একজন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিমাপ করা যায় না। যেমনটি ফিদেল ক্যাস্ত্রো বলেছিলেন- ‘আমি হিমালয় দেখিনি, কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে দেখেছি’, আমারতো মাঝে মাঝে মনে হয়, আমি আকাশকে দেখি না, আমি সমুদ্রকে দেখি না, আমি পর্বতকে দেখি না, আমি একজন মানুষেকে দেখি, যিনি এসব কিছুকে একত্রিত করে দাঁড়িয়ে আছেন আমার সামনে। আমার বিশ্বাস বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের সামনে এ বিশ্বাস স্থায়ী হবে।’
স্মারকগ্রন্থের সম্পাদক ড. দেবব্রত রায় তাঁর বলেন, স্মারক গ্রন্থটি বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রায় ২০০টি লেখা স্থান পেয়েছে এ গ্রন্থে। এ গ্রন্থে প্রায় ৭টি দেশের বরেণ্য লেখকরা লিখেছেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা থেকে প্রকাশিত আন্তর্জাতিক স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে কলকাতার পঞ্চাশ জন লেখক-কবি-সাহিত্যিক-শিল্পী অংশ নিয়েছেন।
গান ও আবৃত্তির সমন্বয়ে বর্ণাঢ্য সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন