স্বাস্থ্য
ডেস্ক: ১৫ অক্টোবর’ ১৯: সকল ধরনের কর্মক্ষেত্রে প্রায় অর্ধেক
কর্মী মানসিক চাপ বৃদ্ধির কারণে ‘ব্রেকিং পয়েন্ট’ এ পড়ে। মনোবিজ্ঞানে ‘ব্রেকিং পয়েন্ট’
হল মানসিক চাপের সেই মুহুর্ত যেখানে কোনও ব্যক্তি ভেঙে পড়ে বা পরিস্থিতি সমালোচনামূলক
হয়ে ওঠে।
২০০০ পেশাদারের মধ্যে চালানো এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা
প্রাপ্তবয়স্ক পরিশ্রমী তাদের কার্যদিবসের প্রায় এক তৃতীয়াংশ সময় জোর বা চাপ অনুভব করে।
তাদের কাজের মুখে বাধা হওয়া এই মানসিক চাপের একমাত্র কারণ হল- প্রতি সপ্তাহের পাঁচ
ঘণ্টা ঘুম কম হওয়া।
কাজের শেষ মূহুর্তে আরও ঘণ্টাখানেক ই-মেইল চেক, হাতের
কাজটি শেষ করা, বক্তৃতা বা প্রেজেন্টেশন প্রস্তুত করা, অফিসের বস কর্তৃক কর্মীর কাছে
বেশি বেশি চাহিদা ইত্যাদি কর্মক্ষেত্রে চাপের সবচেয়ে বড় কারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
আরও চাপ সৃষ্টির কারণ হল- সপ্তাহে কর্মচারিদের ৩১ মিনিটের কাজের জন্য মালিকদের আরও
২ ঘন্টা ৪৫ মিনিট অভিযোগ করা।
দাতব্য সংস্থা সিএবিএ’র মুখপাত্র মনোবিজ্ঞানী রিচার্ড
জেনকিনস বলেছেন, প্রত্যেকেই চাপ অনুভব করে। তবে একটি মাত্রার চাপ এলে ভালো, এতে তারা
ভালো কাজ করতে পারে। তবে অত্যাধিক চাপ নিয়ন্ত্রণহীন স্তরে বেড়ে গেলে কর্মীদের চাপ আরও
বাড়ে। শ্রমজীবী মানুষকে ‘ব্রকিং পয়েন্ট’ এড়াতে কীভাবে তাদের পরিচালনা করতে হবে তা জানতে
হবে।
রিচার্ড জেনকিনস বলেন, প্রত্যেকের একটি কৌশল থাকবে যা
তাদের চাপটি মুক্ত করতে সহায়তা করবে। এক্ষেত্রে জিমের মতো শারীরিক ক্রিয়াকলাপ অথবা
শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামের মতো কিছু জিনিসও সহায়তা করতে পারে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন